প্রেমিকার খাওয়া দেখে অজ্ঞান প্রেমিক । হুজুরের পরামর্শে ব্রেকাপ
প্রেমিকার খাওয়া দেখে অজ্ঞান হয়ে পরে প্রেমিক । হুজুরের পরামর্শে করেন ব্রেকাপ -
আসসালামু আলাইকুম রাসেল ভাই।কেমুন আছেন, ভাল না থাকলেও অবশ্য আমার যায় আসেনা।
তো রাসেল ভাই আমি আর দেরি না করে চলে যাচ্ছি ঘটনায়।হ্যালো লিসেনার্স আমি সাজিদ।আমি এসেছি রংপুর থেকে।
রাসেল ভাই সেদিন ছিলো শনিবার।অন্যান্য দিনের মতোই একটি স্বাভাবিক দিন।কিন্তু এই দিনেই যে আমার জীবনে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যাবে তা আমি সপ্নেও ভাবি নি।
সেদিন সকালে আমার ফোনে ভয়ানক ভাবে রিং হতে থাকে।কেমন যেনো অদ্ভুত ভাবে বাজতেছিলো সেই রিং টোন।কাঁপা কাঁপা হাতে ফোন ধরে দেখি জিএফ ফোন দিয়েছে।হ্যালো বলার পর সে বল্লো তার সাথে কোথাও যেতে হবে।ভয় পাওয়া সত্ত্বেও আমি রাজি হলাম।
রাসেল ভাই তখন প্রায় বেলা একটা ,ভর দুপুর।সে আমাকে নিয়ে একটা অন্ধকার রুমে ঢুকলো।চারিদিকে বাতি নিভানো।শুধু কম আলোর কয়েকটা বাতি জ্বলছে।ভয়ে তখন আমার সারা গা ছমছম করছে।
কিছুক্ষন পর দেখলাম অদ্ভুত পোশাক পরিহিত একজন লোক আসলো ।তাকে আমার গার্লফ্রেন্ড কিছু একটা বল্লো।দশ মিনিট পর আমি যা দেখলাম রাসেল ভাই সেটা ছিলো আমার কল্পনাতীত ,এবং খুবই লোমহর্ষক ।দেখলাম একটা ট্টেতে করে সেই লোকটা কিছু খাবার নিয়ে এলো।সাদা ধবধবে রাইস ।এমন সাদা ধবধবে রাইস আমি এর আগে কখনো দেখিনি।আমার হাত পা কাঁপতে শুরু করে রাসেল ভাই।আর তার সাথে ছিলো আরও ভয়ঙ্কর খাবার।রাসেল ভাই সেখানে একটা মুরগির ডেড বডি ছিলো।সম্ভবত খুব ভয়ঙ্কর ভাবে মুরগিটাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছিলো।মুরগির ডেড বডিটার উপর ছোপ ছোপ মশলার দাগ।উফ রাসেল ভাই কি ভয়ঙ্কর দৃশ্য।
রাসেল ভাই আমার প্রায় দম বন্ধ হয়ে আসছিলো।কিন্তু আমার জিএফ সেই মৃত মুরগিটাকে কাঁটা চামচ দিয়ে নর পিশাচের মত খুব ভয়ঙ্কর ভাবে খুবলে খুবলে খাচ্ছিলো। মুরগিটার প্রত্যেকটা হাড়গোড়ও সে কটমট করে খাচ্ছিলো।রাসেল ভাই আমি তখন অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নেই।
কিছুক্ষন পর খাবার দিয়ে যাওয়া লোকটা একটা ধবধবে সাদা কাগজ নিয়ে আসে।সেটা দেখে রাসেল ভাই আমি প্রচুর ঘামতে থাকি,আমার পায়ের নিচ থেকে জুতা সরে যেতে থাকে।ভয়ে ভয়ে কাগজের দিকে চোখ দিতেই আমি যা দেখি তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না।৭৫০ টাকা বিল হয় রাসেল ভাই।তখন আমি নিজেকে আর সামলাতে না পেরে ওখানেই সেন্সলেস হয়ে পড়ি।তারপর আমার আর কিছু মনে নেই।
জ্ঞান ফেরার পর আমি নিজেকে বেডরুমে আবিষ্কার করি।চারপাশে অনেক মানুষ ভীড় করে আছে।সেখানে আমার গার্লফ্রেন্ড ও ছিলো।তাকে দেখে ভয়ে আমি আবার সেন্সলেস হয়ে পড়ি।পরে অনেক হুজুর টুজুর এনে অনেক দোয়া দরুদ পড়ে আমার জ্ঞান ফেরানো হয়।তারপর হুজুরের পরামর্শে আমার ব্রেকাপ করানো হয় রাসেল ভাই তারপর থেকে এমন ঘটনা আর ঘটেনি।এখন আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
তো রাসেল ভাই এই ছিলো আমার ঘটনা।
আই লাপ ভুত এপেম
New Funny Bhoot Fm যদি ভাল লেগে থাকে কমেন্ট করে জানাবেন। পরের এপিসোড দিব তাহলে।
New Funny Bhoot Fm
সংগ্রহিত : Sajid Hossain Zain
No comments