অনলাইনে ইনকাম ২০২১: অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়!
অনলাইনে ইনকাম ২০২১: আপনি নিশ্চয় ২০২১ সালে এসে অনলাইনে ইনকাম করার নিশ্চিত উপায় খুজছেন। আবার কেউ কেউ অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট থেকে করে সহজে পেমেন্ট পেতে চাইছেন। অনলাইন হতে আয় করার নিশ্চিত কিছু উপায় এবং অনলাইন ইনকাম সাইট রয়েছে যেগুলো থেকে সহজে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
২০২১ সালে অনলাইনে আয় করার জন্য শুধুমাত্র আপনার মেধা, শ্রম ও সময়ের প্রয়োজন। আপনি এই তিনটি জিনিস সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে এখনো অবধি ঘরে বসে অনলাইন হতে সহজে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি হয়ত বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাইছেন না! কোন সমস্যা নেই। আমি আপনাকে উদাহরনের মাধ্যমে দেখিয়ে দেব কিভাবে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে আয় করবেন?
আপনি একজন ছাত্র, গৃহিনী কিংবা চাকরিজীবী যাই হয়ে থাকেন না কেন, আপনার লেখা-পড়া বা কাজের ফাঁকে কিংবা চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে ২/৩ ঘন্টা ব্যয় করে মাসে মোটামুটি ভালোমানের স্মার্ট এমাউন্ট অনলাইনে আয় করতে সক্ষম হবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার চাকরি কিংবা লেখা পড়ায় কোন ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না। আপনার মূল প্রফেশন ঠিক রেখেও সামান্য অল্প সময় ব্যয় করে অনলাইন হতে বাড়তি কিছু টাকা আয় করে নিতে পারবেন।
আপনি একটি বিষয় ঠান্ডা মস্তিস্কে ভেবে দেখুন, আরো অন্য দশজন স্কুল কিংবা কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের মত আপনিও আপনার মূলবান সময়টুকু ফেইসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে ফানি ভিডিও দেখা সহ বিভিন্ন রকম সামাজিক যোগাযোগের সাইটে ব্যয় করছেন। কখনো কখনো আমার নিজের প্রতিও খুব দুঃখ হয় কেন আমি বিগত বৎসরগুলোতে এ সকল সাইটে অযথা সময় ব্যয় করলাম। আমি নিজে প্রায় দুই বৎসর ফেইসবুক, টুইটার এবং বিভিন্ন অনলাইন গেম খেলে সময় পার করেছি। এখন আমি ভাবি কেন আমি এ সময়টুকো ঐ সমস্ত সামাজিক যোগাযোগের সাইটে ব্যয় না করে ব্লগিং করে কাটালাম না।
এ রকম আমার আপনার অনেক বন্ধু বান্ধব আছে যারা ঠিক একইভাবে বিভিন্ন সামজিক যোগাযোগের সাইটে চ্যাট করে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার করে দিচ্ছে। আপনি যদি হিসাব করে দেখেন, আপনি প্রতিদিন গড়ে কতটুকু সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করে পার করছেন, তাহলে বেশীরভাগ লোকই বলবে ২-৩ ঘন্টা। তাহলে আপনি কি ভাবছেন এ সংখ্যা বছরে কতয় গিয়ে দাড়াচ্ছে। বছরে অন্তত ১০০০-১২০০ ঘন্টা পার করছেন ইন্টারনেটে বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগ এর সাইটে চ্যাট করে। কিন্তু একবারও কি আপনি নিজের কাছে প্রশ্ন করেছেন যে, আপনার এ মূল্যবান সময়গুলো ব্যয় করে আপনি কি পেয়েছেন? আমিত নির্ধিদ্বায় বলতে পারি এর শুরু থেকে শেষ অব্দি শুধু শূন্য আর শূন্য।
আপনার মূ্ল্যবান সময়ের সামান্য সময় ব্যয় করে যদি কিছু টাকা পয়সা অনলাইনে আয় করে নিজের প্রয়োজন মিটাতে পারেন, তাহলে অন্যের কাছ থেকে ধার কর্জ করে চলার চেয়ে খারাপ কি? ইন্টারনেট জগৎটা Facebook, Social Media and Gaming এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আপনার সামান্য ইচ্ছা শক্তির বলে আপনি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এই জন্য আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে ছাত্র-ছাত্রী, গৃহিনী এবং কিশোর বয়সি আধুনিক জেনারেশনরা অনলাইনে টাকা আয় করে নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজন মিটাতে পারেন।
কেন ছাত্রদের টাকা প্রয়োজন?
স্কুল কিংবা কলেজ সকল স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু Extra Pocket Money এর প্রয়োজন হয়। এই অল্প টাকা দিয়েই সে তার নিত্য প্রয়োজনীয় ছোট খাটো সখ এবং প্রয়োজন মিটিয়ে নিতে পারে। তাছাড়াও স্বাভাবিকভাবে এখনকার জেনারেশনের ছাত্রদের Smartphone, Gaming consoles, Cool cloths ইত্যাদি লাগেই। এ গুলো তাদের চলার পথকে আর Smart এবং সুগম করে। এই ছোট খাটো ব্যাপারগুলো অনেক সময় আপনার ফ্যামেলির কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারবেন না। এই জন্য আপনি যদি অল্প সময় ব্যয় করে অনলাইন হতে কিছু টাকা আয় করে নিজের প্রয়োজন নিজেই মিটাতে পারেন, তাহলে নিজেকে যেমন আত্ম নির্ভরশীল মনে হবে তেমনি প্রয়োজন গুলোও মিটে যাবে।
তাছাড়া অনেক গৃহিনী আছেন যাদের বাসায় বসে থাকা ছাড়া কোন কাজই থাকে না। তারা বেশীরভাগ সময় ব্যয় করে ফেইসবুকে বন্ধুদের সাথে চ্যাট করে। আপনি অযথা এই সময় ব্যয় না করে যদি নিজের কিছু প্রয়োজন মিঠাতে পারেন বা অল্প আয় করতে পারেন তাহলে দুষের কি? নিচে আমি অনলাইন হতে আয় করা সহজ কিছু কৌশল দেখাবো, যেখান থেকে আপনিও ইচ্ছা করলে কিছু পয়সা উপার্জন করে নিতে পারবেন।
অনলাইনে আয় ২০২১
আপনি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন কি না, সে বিষয়টি আমি শুরুতে ক্লিয়ার করে নিচ্ছি। কারণ অধিকাংশ লোকের কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকার কারনে অনলাইনে কাজ করতে চায় না। তারা মনেকরে কম্পিউটার ছাড়া মোবাইল দিয়ে অনলাইন হতে আয় করার সম্ভব নয়। কিন্তু আপনি হয়ত জানেন না যে, কম্পিউটার ছাড়াও শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ঘরে বসে অনলাইনে সহজে আয় করা যায়। আপনার নিকট যদি একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল থাকে তাহলে আপনি সেই স্মার্টফোন দিয়ে অনলাইন হতে মাসে কিছু টাকা আয় করে নিতে পারবেন।অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায়
অনলাইন কাজ শুরু করার পূর্বে অনেকের মনে আরেকটি প্রশ্ন জাগে যে, আমি অনলাইনে আয় করার পর সেই টাকা কিভাবে হাতে পাব? অনলাইনে আয়ের টাকা কিভাবে হাতে পাবেন সেই বিষয় নিয়ে আপনাকে চিন্ত করতে হবে না। অনলাইনের যে কোন প্লাটফর্ম হতে আপনি টাকা ইনকাম করুন না কেন সেই টাকা আপনার হাতে পৌছতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। বর্তমানে প্রত্যেকটি অনলাইন প্লাটফর্ম তাদের গ্রাহকের উপার্জিত টাকা বিশ্বস্ততার সহিত হাতে পৌছে দেয়। এ ক্ষেত্রে আপনার অনলাইনে আয়ের টাকা কেবলমাত্র বিকাশের মাধ্যমে পেতে হবে এমনটা চিন্তা করা উচিত নয়। অনলাইনে সকল বড় প্লাটফর্মগুলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা হাতে পৌছে দেয়। সেই জন্য অনলাইন হতে আয়ের টাকা খুব সহজে আপনার যেকোন ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
- আরো পড়ুন - মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট ২০২১
অনলাইনে ইনকাম ২০২১
আমার অনেক পরিচিত লোক রয়েছে যারা অনলাইন হতে প্রতি মাসে ভালোমানের টাকা ইনকাম করছে। আবার এমনো কিছু পরিচিত ব্যক্তি আছে যারা অনলাইনে ইনকাম করে তাদের পরিবারেরে ভরণ পোষণ সহ বিলাসিতার জীবন যাপন করছে। আমি নিজেও ২০১৫ সাল হতে অদ্যাবধি চাকরির পাশাপাশি প্রতি মাসে কিছু টাকা অনলাইনে ইনকাম করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনার সকলের আন্তরিকতা ও ভালবাসা পেলে ভবিষ্যতে অনলাইনে ইনকামের পরিমানটা আরো বৃদ্ধি করতে পারব।অনলাইন ইনকাম সাইট ২০২১
এখন আমরা আপনাদের সাথে অনলাইনে আয় করার কয়েকটি নিশ্চিত উপায় শেয়ার করার পাশাপাশি কয়েকটি জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম সাইট শেয়ার করব। আশাকরি আপনি ধৈর্য্যধারণ করে ২/৪ মাস কাজ করলে আপনিও মাসে মাসে অনলাইনে টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। অনলাইনে কাজ শুরুর দিকে আপনার কাছে বিষয়টি কঠিন মনে হবে। কিন্তু ধিরে ধিরে আপনার কাছে সহজে হয়ে উঠবে। আপনি একটি জিনিস মনে রাখবেন, কেউ একদিনে বড় হয়নি, বড় হওয়ার জন্য সময় দিতে হয় এবং ধৈর্য্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হয়।০১। YouTube হতে টাকা আয়
অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে সহজ পথ হচ্ছে YouTube. এখান থেকে যে কোন বয়সের লোক খুবই সহজে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ইন্টারনেট বিশ্বের জনপ্রিয় ১০ ওয়েবসাইটের মধ্যে YouTube হচ্ছে একটি। আপনি ইচ্ছে করলেই এখান থেকে কম সময় ব্যয় করে অল্প অভীজ্ঞতা নিয়ে মাসে ভালো মানের টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। এই জন্য আপনাকে যেটি করতে হবে- প্রথমে বিভিন্ন ভাল মানের ভিডিও YouTube এ আপলোড করতে হবে। ভিডিও তৈরি করার জন্য আপনার মোবাইল ফোনকে ব্যবহার করতে পারেন।এগুলো অবশ্যই পড়বেন -
আপনি যদি ভ্রমন প্রিয় লোক হন তাহলে বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর প্রকৃতিক দৃশ্যগুলো আপনার মোবাইলের ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দী করেও এ কাজটি করতে পারেন। অথবা আপনি যে বিষয় ভালভাবে জানেন সে বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও টেউটরিয়াল তৈরী করেও কাজটি করতে পারেন। যারা গৃহিনী রয়েছেন তারা চাইলে বিভিন্ন রান্নার রেসিপি টিপস ও সাজগোজের করার ভিডিও তৈরি করে নিতে পারেন।
এখনকার মোবাইল ফোনে অনেক ভালোমানের ভিডিও রেকর্ডিং করা যায় বিধায় আপনি চাইলে আপনার মোবাইল দিয়ে ক্যামেরার সামনে বসে ভিডিও বানাতে পারেন অথবা ক্যামেরার সামনে আসতে না চাইলে মোবাইল দিয়ে স্ক্রিন ভিডিও রেকর্ড করে বিভিন্ন ধরনের টিউটরিয়াল ভিডিও তৈরি করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন কারও কোন নকল ভিডিও কপি করে এটি করা যাবে না। এতে করে হিতের বিপরীত হতে পারে।
০২। ব্লগিং করে বা ব্লগে আর্টিকেল লিখে
আপনি গুগল ব্লগারে কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসে বিনা মূল্যে একটি ব্লগ তৈরী করে নিতে পারেন। গুগল ব্লগার সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি ব্লগ তৈরি করার সুযোগ দিচ্ছে। তাছাড়া গুগল ব্লগার দিয়ে ব্লগ তৈরি করা খুব সহজ হওয়ায় আপনি চাইলে আপনার মোবাইল দিয়ে মাত্র ৫ মিনিটে নিজের একটি ব্লগ তৈরি করে নিতে পারেন। গুগল ব্লগার দিয়ে ব্লগ তৈরি করার বিষয়ে আমাদের ব্লগে একটি বিস্তারিত পোস্ট রয়েছে। আপনার নিজের একটি ব্লগ তৈরি করার জন্য নিচের লিংক থেকে আমাদের ব্লগে পোস্ট দেখে নিতে পারেন।এগুলো অবশ্যই পড়বেন -
তবে একটি বিষয় মরে রাখবেন ব্লগ তৈরী করে থেমে থাকলে হবে না। আপনার যে বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান আছে, আপনি সে বিষয় নিয়ে লিখে যাবেন। এ ক্ষেত্রে হয়তো আপনি প্রথম ২-৩ মাস একটু কষ্ট করতে হবে। তাই বলে আপনি নিরাশ হয়ে থেমে থাকবেন না। আপনি প্রতিদিন নিত্য নতুন আর্টিকেল লিখতে থাকেন। আপনার বিষয়টি যদি ইউনিক এবং জ্ঞানগর্ভপূর্ণ হয় তাহলে ভিজিটর অবশ্যই আপনার ব্লগে আসবে। এ ক্ষেত্রে সফলতা পেতে আপনাকে বেশী দিন অপেক্ষা করতে হবে না। আপনি নিজে নিজেই টাকা উপার্জনের পথ সুঘম করে নিতে পারবেন।
০৩। Freelancing – একজন লেখক হয়ে
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে বর্তমানে Freelancing একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। Freelancing করে বর্তমানে বাংলাদেশের হাজার হাজার লোক ঘরে বসে অনলাইন হতে টাকা আয় করছে। তাছাড়া বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কাজে লাগানোর জন্য Freelancing বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর ব্যবস্থা চালু করেছে। অনেকে সেই সমস্ত সরকারী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে Freelancing এর মাধ্যমে মাসে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ইনকাম করে স্বাবলম্বি হচ্ছে।- আরো পড়ুন - ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন!
- আরো পড়ুন - গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়!
০৪। Adsense থেকে টাকা আয়
Adsense হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের (Advertisement) Program. এটি গুগল কর্তৃপক্ষ সয়ং নিজে পরিচালনা করছে। আপনি যদি আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলকে ভালোমানের Platform এ নিয়ে যেতে পারেন এবং ব্লগে বা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকে তাহলে Adsense থেকে আপনি হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এগুলো অবশ্যই পড়বেন -
এ পদ্ধতীতে আপনার ব্লগে কিংবা ইউটিউব ভিডিওতে Adsense এর বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে ক্লিক প্রতি ডলার আয় করতে পারবেন। অনেকে বলে Adsense Approve করাটা অনেক কঠিন কাজ। কিন্তু আমি বলছি মোটেও কঠিন কাজ নয়। আপনি যদি মানসম্মত ২৫-৩০ টি ইউনিক কনটেন্ট লিখতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে Adsense Approve হয়ে যাবে। এখান থেকে আপনি দীর্ঘ দিন যাবত টাকা ইনকাম করে যেতে পারবেন।
০৫। প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে (Ask And You Answer)
আপনি যদি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, যেমন ধরুন - Math, English, Physics, Biology, Humanities ইত্যাদি। তাহলে আপনি প্রশ্ন উত্তর প্রদানের মাধ্যমে ইন্টারনেটে অন্যের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন। আপনি যদি তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেন, তাহলে ইন্টারনেটে অনেক সাইট আছে যেগুলোতে জয়েন করার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে। তাদের সাইটে জয়েন করার মাধ্যমে ঐ কোম্পানী হতে আপনি ভাল মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি বেশ চালাক এবং বুদ্ধিমান হতে হবে। আপনি বুঝতেই পারছেন আপনার চালাকি এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে এখান থেকে টাকা আয় করতে হবে।০৬। EBAY and AMAZON এ Products বিক্রি
আপনারা হয়তো জানেন যে, ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পন্য কেনা কাটার জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে Ebay and Amazon. এখানে লোকজন তাদের বিভিন্ন ধরনের Products বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। আপনার পন্যটি যদি ক্রেতার কাছে ভাল মনে হয়, তাহলে পন্যটি কেনার জন্য ক্রেতারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনি যদি আপনার Products বিক্রি করে একজন ভালোমানের বিক্রেতা হতে পারেন, তাহলে এখান থেকে কমদামে বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করে ভালো দামে বিক্রয় করে লাভবান হতে পারেন। তবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনাকে আগে একজন ভাল মানের বিক্রেতা হিসেবে প্রমান করতে হবে।০৭। গ্রাফিকস ডিজাইন
অনলাইনে গ্রাফিকস ডিজাইনের চাহিদা প্রচুর পরিমানে রয়েছে। অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন একটি ভালো উপায়। যারা এই কাজে দক্ষ, তারা বিভিন্ন ডিজাইন বিষিয়ক অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাদের নিজেস্ব ডিজাইন দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাদের ডিজাইনগুলো ক্রেতাদের পছন্দ হলে কিনে নেয়। এ ধরনের একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার কাজটি আপনি প্রাথমিকভাবে এডোবি ফটোশপ থেকে শুরু করতে পারেন।০৮। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এখন আর শুধু বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নয়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি সহজে অনলাইন হতে আয় করতে পারবেন। আপনার ৩-৫ টি ফেসবুক পেজে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার থাকলে আপনি ঘরে বসে খুব সহজে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানির নিকট থেকে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ যেকোন কোম্পানির পন্যের প্রচারের জন্য এখন ফেসবুক ও টুইটার খুবই জনপ্রিয় মাধ্যম। এ ক্ষেত্রে আপনার জনপ্রিয় কোন সোশ্যাল মিডিয়া থাকলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানি আপনার সাথে যোগাযোগ করবেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয় হওয়া জরুরি।০৯। ডাটা এন্ট্রি
অনলাইনে সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আয় খুব কম। তবে এ ধরনের কাজ অটোমেশনের কারণে এখন খুব কম পাওয়া যায়। যাদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, তারা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ রয়েছে। তবে যাদের কোনো কাজে দক্ষতা থাকে, তারা সহজে কাজ পান এবং দ্রুত আয় বাড়াতে পারেন।১০। পিটিসি
অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে টাকা দেওয়া হয়। এ ধরনের সাইটকে পিটিসি সাইট বলে। প্রকল্প শুরুর আগে নিবন্ধন করতে হয়। তবে মনে রাখতে হবে পিটিসি সাইটগুলো বেশির ভাগ ভুয়া হয়। তাই কাজের আগে নিশ্চিত হতে হবে সেটি প্রকৃত সাইট কি না। অনেক সময় বন্ধুত্বের রেফারেন্স দিয়ে আয় করতে পারেন।১১। এফিলিয়েট মার্কেটিং
অনলাইনে অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে আয় করাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। আপনি যদি অনলাইনে বেশি টাকা উপার্জন করতে চান এবং যদি পরিশ্রমী আর ধৈর্য্যশীল মানুষ হন, তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
উন্নত দেশের পাশাপাশি বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষও এখন বেশি পরিমানে অনলাইন শপিং করছে। মূলত মোবাইল ব্যাংকিং চালু হওয়ার কারনে আমাদের দেশের অনলাইন মার্কেটিং বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ বেড়েছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের ব্লগের এফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত পোস্ট পড়তে পারেন।
১২। ই-কমার্স সাইট থেকে ইনকাম
টেকনোলজি উন্নতি সাধনের সাথে সাথে মানুষ দিন দিন খুব অনলাইন কেনা কাটার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ই-কমার্স সাইট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রচুর পরিমানে ব্যবসা সফল হচ্ছে। আপনি চাইলে নিজেই অথবা বন্ধু বান্ধব মিলে শুরু করতে পারেন নিজেদের ই-কমার্স সাইট। বর্তমানে ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে ইনকাম করার প্রবনতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ই-কমার্স সাইট করে সফল হতে হলে আপনাকে কিছু ট্রিক্স অবলম্বন করতে হবে। আপনার আসে পাশের সেই পন্য গুলো নিয়ে কাজ করুন যে গুলো এখনো অনলাইনে সচরচর পাওয়া যায় না। মানুষের দোরগোড়ায় ভাল মানের পন্য পৌঁছে দিন প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কেটের তুলনায় কিছুটা কম মূল্যে। বিশ্বাস করুন আপনি যত টা কঠিন ভাবছেন এটা করা তার থেকে অনেক সহজ শুধু আপনাকে শুরু করতে হবে এবং ধর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে।
১৩। অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম
ছবি তোলার অভ্যাস থাকলে কিংবা আপনি একজন ভালোমানের ফটোগ্রাফার হলে অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি আশে-পাশের প্রকৃতি, স্থান, মানুষ, জিনিস, খাবার, সহ যে কোন কিছুর ভাল ছবি তুলে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
শাট্টারস্টক, ফোটোলিয়া, আইস্টকফটো, ফটোবিককেটের মত বড় বড় সাইটগুলি রয়েছে যেখানে আপনি আপনার তোলা ফটো জমা দিতে পারেন। যখনই কোনও গ্রাহক আপনার তোলা কোন ছবি কিনবে, আপনি আপনার ছবির নির্দিষ্ট মূল্য পেয়ে যাবেন। অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করার বিষয়েও আমাদের ব্লগে একটি বিস্তারিত পোস্ট রয়েছে।
১৪। জরিপ বা সার্ভে থেকে টাকা ইনকাম
কোন প্রতিষ্ঠানের বা ব্র্যান্ডের পণ্যের উপর ৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে সার্ভে বা জরিপ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন। অনলাইন সার্ভে করে আপনি উপরের যে কোন উপায় থেকে আরও বেশি আয় করতে পারবেন।
সার্ভে করার জন্য আপনাকে উক্ত পন্য বা সেবা সম্পর্কে মতামত দিতে হবে। সার্ভে বা জরিপের ক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র প্রশ্ন থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী উত্তর নির্বাচন করতে হবে, অতিরিক্ত কিছুই লিখতে হবে নেই। জরিপের দৈর্ঘ্য, আপনার প্রোফাইলের উপর নির্ভর করে আপনি প্রতিটি সার্ভের জন্য $১ থেকে $২০ ইনকাম করতে পারেন।
১৫। বিজ্ঞাপন দেখে আয়
অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখেও টাকা আয় করা সম্ভব, সেই সম্পর্কে অনেকেরই কোনো ধারণা নেই। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দাতার সংখ্যা এতই বেশি যা অবাক করার মতো। বর্তমানে ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দেয় না এমন কোম্পানির সংখ্যা নেই বললেই চলে।
ইন্টারনেটে এমন বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যারা এসব কোম্পানির কাছ থেকে তাদের বিজ্ঞাপন জনসাধারণকে দেখানোর চুক্তিবদ্ধ হয় এবং পরে তারা ওইসব বিজ্ঞাপন দেখার জন্য তাদের লভ্যাংশ থেকে বিজ্ঞাপনটি যে দেখছে তাকেও কিছু অর্থ প্রদান করে থাকে।
No comments