ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় এবং সতর্কতা
ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় এবং সতর্কতাঃ |
ডেঙ্গু প্রতিরোধ |
ডেঙ্গুর লক্ষন -
১) ডেঙ্গু জ্বরে সাধারনত তীব্র জ্বর হয় যা ১৫০° পর্যন্ত হতে পারে।
২) সরীরে বিশেষ করে হারের জয়েন্টে, কমর, পিঠ, মাংসপেশিতে প্রচন্ড ব্যথা হয়। ৩) মাথা ব্যথা ও চোখের পেছনের অংশেও ব্যথা হতে পারে।
৪) জ্বর হওয়ার চার বা পাঁচ দিনের সময় সারা সরীরে লালচে দানার মত দেখা দেয় যা অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মত দেখতে।
৫) রোগির বমি বমি ভাব হতে পারে অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ ও খাওয়ার রুচি কমে যেতে পারে।
৬) অবস্থা জটিল আকার ধারন করলে সরীরের বিভিন্ন স্থান যেমন - চামরা, নাক, মুখ, মাড়ি, কফ, মলের সাথে রক্ত পরতে পারে। মেয়েদের বেলায় ঋতুস্রাবের মেয়াদ অনেক দীর্ঘ হতে পারে।
ডেঙ্গু চিকিৎসা -
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগি সাধারনত পাঁচ থেকে দশ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভাল হয়ে যায়৷ তবে অবস্থা জটিল আকার ধারন করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ডেঙ্গুর সাধারন চিকিৎসার জন্য ভাল না হওয়া পর্যন্ত বিস্রাম নিতে হবে। যথেষ্ট পরিমান পানি সরবত ডাবের পানি ও অন্যান্য তরল জাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে। খেতে না পারলে দরকার হলে শীরা পথে স্লাইন দেয়া যেতে পারে। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধি যথেষ্ঠ। ব্যথা নাসক ঔষধ কোন ক্রমেই খাওয়া যাবে না। এতে রক্তক্ষরনের ঝুকি বেড়ে যায়। মাঝে মাঝে জ্বর কমানোর জন্য ভেজা কাপর দিয়ে গা মুছে দিতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ -
এডিস মশার বংশ বৃদ্ধিকে রুখে দারানোই ডেঙ্গুর মুল প্রতিরোধ। তাই এই মশা যাতে বংশ বৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য তত্তপর থাকতে হবে। বাড়ির আসপাস পরিস্কার রাখতে হবে। ছোট খাটো কোন কিছুতেই যেমন - ফুলদানি, কৌটা, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ারে যাতে পানি না জমে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এডিস মশা সাধারনত সকালে ও সন্ধ্যায় কামরায় তাই মশার কামর থেকে রক্ষা পেতে ভালভাবে কাপর জরিয়ে নিতে হবে। মশারি ব্যবহার করতে হবে। মশারি এবং কয়েল ছাড়া দিনে বা রাতে কখনই ঘুমানো যাবে না৷
আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি সেয়ার করে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিন৷
No comments